স্টাফ রিপোর্টার।
কম সময়ে একই জমিতে বছরে একাধিক ফসল উৎপাদন করা যায় এমন ভাবনা নিয়ে কুমিল্লায় প্রান্তিক কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এতে করে কৃষকরা যেমন লাভবান হবে তেমনি জেলার খাদ্যর জোগানে আসবে ব্যাপক পরিবর্তণ।
মঙ্গলবার বুড়িচং উপজেলার বাকশিমূল ইউনিয়নের পাহাড়পুড় গ্রামের প্রান্তিক কৃষকদের নিয়ে এমনই এক প্রশিক্ষনের আয়োজন করে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট কুমিল্লা আঞ্চলিক কার্যালয়।
“আধুনিক ধান চাষাবাদ কলাকৌশল ও প্রযুক্তি” বিষয়ে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ৫৪ জন কৃষক-কৃষাণী ও ৬ জন উপসহকারি কৃষি অফিসার অংশগ্রহণ করেন।
প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মোহিত কুমার দে ও বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলার উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় কুমিল্লার সিএসও ও প্রধান ড. মো. রফিকুল ইসলাম। দিনব্যাপি প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষণার্থীদের ধান চাষের ক্ষেত্রে এলাকা উপযোগী বিভিন্ন মৌসুমের নতুন জাত, সার ব্যবস্থাপনা, সেচ ব্যবস্থাপনা, বিভিন্ন রোগ ও পোকামাকড় দমন ব্যবস্থাপনা, ধান বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণের আধুনিক কলাকৌশল বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
প্রশিক্ষণ কার্যক্রমটি সমন্বয় করেন বুড়িচং উপজেলার উপজেলা কৃষি অফিসার মোছা. আফরিণা আক্তার। প্রশিক্ষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ব্রি কুমিল্লার উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাড. মো. মামুনুর রশিদ, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ কে এম সালাউদ্দিন ও মোছা. তানজিয়াতুল হুসনা।
প্রশিক্ষণ শেষে অতিথিবৃন্দ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর যৌথ উদ্যোগে বেলবাড়ি মাঠে মৌসুমি পতিত ৭০ বিঘা জমিতে প্রথমবারের মতো চাষ হওয়া আউশ জমি পরিদর্শন করেন। উদ্যোগটির সমন্বয়কারী অতিরিক্ত কৃষি অফিসার বানিন রায় ও মনোহরপুর বøকের উপসহকারি কৃষি অফিসার মো. সাহেদ হোসেন অতিথিবৃন্দকে আউশ জমি গুলো ঘুরে দেখান।ব্রি কুমিল্লার গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম জোরদাড়করণ কর্মসূচির আওতায় বেলবাড়ি মাঠের ৪০ জন কৃষককের মাঝে আউশ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বীজ সহায়তা ও ৬০ বিঘা জমির জন্য ২০ কেজি করে ইউরিয়া সার ইতিপূর্বে বিতরণ করা হয়েছে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page